সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মিলের ব্যতিরেকী পদ্ধতি আলোচনা করো।[সংজ্ঞা, আকার, দৃষ্টান্ত, সুবিধা দুটি, অসুবিধাদুটি]

ব্যতিরেকী পদ্ধতির সংজ্ঞা:
“যদি আলোচ্য ঘটনাটি একটিমাত্র দৃষ্টান্তে উপস্থিত
থাকে এবং অপর একটি দৃষ্টান্তে অনুপস্থিত থাকে এবং
এইরূপ দুটি দৃষ্টান্তে যদি একটিমাত্র ঘটনা ছাড়া আর সব
বিষয়ে সম্পূর্ণ মিল থাকে, আর যে ঘটনাটিতে মিল নেই
সেটি যদি শুধুমাত্র প্রথম দৃষ্টান্তে উপস্থিত থাকে তবে যে
ঘটনাটির জন্য দুটি দৃষ্টান্তের মধ্যে পার্থক্য সেই ঘটনাটি
আলোচ্য ঘটনার কারণ বা কার্য বা কারণের অনিবার্য
অংশ।”
ব্যতিরেকী পদ্ধতির আকার:
দৃষ্টান্ত   পূর্ববর্তী ঘটনা          পরবর্তী ঘটনা
 সদর্থক        ABC                       abc
   নঞর্থক      BC                         bc
:: A হল a-এর কারণ।
ব্যতিরেকী পদ্ধতির দৃষ্টান্ত:
পূর্ববর্তী ঘটনা
মস্তিষ্কের বাম অংশ
কেটে বাদ দেওয়া
হয়নি (A)
দৃষ্টান্ত

মস্তিষ্কের বাম অংশ
কেটে বাদ দেওয়া
হয়েছে (A)

পরবর্তী ঘটনা
শরীরের ডানদিক
পক্ষাঘাতগ্রস্ত
হয়নি (a)
শরীরের ডানদিক
পক্ষাঘাতগ্রস্ত
হয়েছে ( − a )
সুতরাং, মস্তিষ্কের বাম অংশ (A) হল শরীরের ডান
অংশের নিয়ন্ত্রণের (a) কারণ ।
ব্যতিরেকী পদ্ধতির দুটি সুবিধা:
[১] ব্যতিরেকী পদ্ধতি পরীক্ষণের পদ্ধতি। তাই এই
পদ্ধতি সুনিশ্চিতভাবে কার্য-কারণ সম্বন্ধ
আবিষ্কার ও প্রমাণ করতে পারে। তাই মিল
ব্যতিরেকী পদ্ধতিকে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রমাণের পদ্ধতি
বলেছেন।
[২] ব্যতিরেকী পদ্ধতিতে অকারণ সুনিশ্চিতভাবে
অপসারণ করতে পারে।
ব্যতিরেকী পদ্ধতির দুটি অসুবিধা:
[১] ব্যতিরেকী পদ্ধতি প্রয়োগের জন্য বিশেষ দক্ষতার
প্রয়োজন হয়। সাধারণ মানুষ এই পদ্ধতির
অপপ্রয়োগ ঘটাতে পারে। ফলে এই পদ্ধতিতে
কাকতালীয় দোষের সম্ভাবনা থাকে।
[২] ব্যতিরেকী পদ্ধতি মূলত পরীক্ষণের পদ্ধতি। তাই
এই পদ্ধতি কারণ থেকে কার্য আবিষ্কার ও প্রমাণ
করতে পারে। কিন্তু কার্য থেকে কারণ আবিষ্কার
ও প্রমাণ করতে পারে না। এখানেই এই পদ্ধতির
সীমাবদ্ধতা।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

W.B.B.S.E মাধ্যমিক পরীক্ষার সমস্ত জ্যামিতিক প্রয়োগের প্রশ্ন

 মাধ্যমিক পরীক্ষার সমস্ত গুরুত্বপূণ প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হল।

কারক নির্ণয় ।

                                                        কারক   কারক নির্ণয় প্রায় সব শ্রেনিতেই থাকে তাই এটি প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীর শেখা বাধ্যতামূলক । একটু পরিশ্রম করলেই খুব সহজেই তারা এটি করতে পারে। কিন্তু আমি বেশিরভাগ ছাত্র ছাত্রীদের এই কারকেও ভয় পেতে দেখেছি । আমার প্রিয় ছাত্র ছাত্রী, তোমাদের আর কারকে ভয় পাবার দরকার নেই।  তোমাদের আমি সহাজ সরল পদ্ধতির মাধ্যমে কারক বুঝিয়ে দেবো, যার পর তোমদের আর কখনই কারক ভুল হবেনা।  আমি একটা কবিতার মাধ্যমে তোমাদের কারক নির্ণয় শিখিয়ে দেব।                কারক নির্ণয়ের কবিতা  কারক নির্ণয় যদি মনে প্রাণে কর      তাহলে সবার আগে ক্রিয়াপদ ধর।   ক্রিয়াকে প্রশ্ন কর নিম্নরূপ ভাবে       ক্রিয়াই বলিয়া দেবে কোন কারক হবে।                   কে > কর্ত...

নবম শ্রেণির জন্য ভারতের সম্পদ থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

নবম শ্রেণির জন্য ভারতের সম্পদ থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর ১. প্রশ্ন: সম্পদ কী? ✅ উত্তর: মানুষের প্রয়োজন মেটাতে যে সমস্ত প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট উপাদান ব্যবহার করা হয়, তাকে সম্পদ বলে। ২. প্রশ্ন: সম্পদের প্রধান দুই শ্রেণি কী কী? ✅ উত্তর: 1. প্রাকৃতিক সম্পদ (যেমন—মাটি, জল, খনিজ) 2. মানবসম্পদ (যেমন—শিক্ষা, প্রযুক্তি, দক্ষ শ্রম) ৩. প্রশ্ন: ভারতের প্রধান খনিজ সম্পদ কোনটি? ✅ উত্তর: কয়লা, লোহা, বক্সাইট, স্বর্ণ, তামা, পেট্রোলিয়াম, চুনাপাথর ইত্যাদি। ৪. প্রশ্ন: ভারতে কয়লার প্রধান খনি কোথায় অবস্থিত? ✅ উত্তর: ঝাড়খণ্ড (জারিয়া), ছত্তিশগড় (কোরবা), পশ্চিমবঙ্গ (রাণীগঞ্জ)। ৫. প্রশ্ন: ভারতের বৃহত্তম তেলক্ষেত্রের নাম কী? ✅ উত্তর: বোম্বে হাই (আরব সাগরে অবস্থিত)। ৬. প্রশ্ন: ভারতের প্রধান কৃষিজ সম্পদ কী কী? ✅ উত্তর: ধান, গম, আখ, তুলা, চা, কফি, ডাল, তেলবীজ ইত্যাদি। ৭. প্রশ্ন: নবীকরণযোগ্য সম্পদের উদাহরণ দাও। ✅ উত্তর: জল, বায়ু, সূর্যালোক, জৈব জ্বালানি, বন। ৮. প্রশ্ন: ভারতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত শক্তির উৎস কী? ✅ উত্তর: কয়লা (থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টে ব্যবহৃত হয়)। ৯. প্রশ্ন: ভারতের সবচেয়ে বড় লোহার আকরি...