ত্রেতাযুগে দৈত্যরাজ বলি নানা রকম কঠোর তপস্যার ফলে স্বর্গ ,মর্ত্য ও পাতাল –এই তিন লোকের ওপর নিজের আধিপত্য বিস্তার করে ।এর ফলে দেবতারা সবরকম ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত হন ।তাই তাদের রক্ষা করবার জন্য শ্রী কৃষ্ণ বামন রুপে কশ্যপ ও অদিতির পুত্র হয়ে জন্মগ্রহণ করেন ।
কোন –এক সময়ে দৈত্যরাজ বালি এক মহাযজ্ঞের আয়োজন করেন এবং মুক্ত হস্তে দান করার কথা প্রচার করে ।এই সুযোগে বামন রুপী কৃষ্ণ যজ্ঞস্থলে উপস্তিত হয়ে বলির কাছে মাত্র ত্রিপাদ ভূমি পার্থনা করেন।যজ্ঞকর্তা বলি চিন্তা করলো যে আমাদের ক্ষুদ্র এই ব্রাহ্মণের ত্রিপাদ ভূমি আর কতটুকু ।
তাই সে ত্রিপাদ ভুমিদানে প্রতিশ্রুতি দিলো ।তখন দৈত্য গুরু শুক্রাচার্য কৃষ্ণের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে বলিকে এই দান করতে নিশেদ করেন ।কিন্তু বলি বলল জা, সে দান করবে বলে যা অঙ্গীকার করেছে ,টা অস্বীকার করতে পারে না ।বলির সংকল্প শেষ হওয়া মাত্র বামন তাঁর এক পা দিয়ে মর্ত্য ও পাতাল আয়ত্ত করেন ।তারপর দ্বিতীয় পা বিস্তার করলে স্বর্গ তাঁর আয়ত্তে আসে ।
আর নাভি থেকে বের হওয়া তৃতীয় পা রাখার জন্য বামন তখন পরিমিত ভূমি পার্থনা করেন ।তখন বলি তৃতীয় পা টি তাঁর মস্তকে স্থাপন করতে বলে।বলির স্ত্রী বিন্ধাবলী স্বামীকে পাপ মুক্ত করার জন্য বামনকে অনুরধ করে,কারন,বলি তাঁর সমস্তই বামনকে দান করেছে ।
কৃষ্ণ বলির সত্যবাদিতা ও পরম ভক্তি দেখে সন্তুষ্ট হয়ে বলেন যে ,সার্বনি মন্মন্তরে
বলি ইন্দ্র হবে এবং এই মম্মন্তর না আসা পর্যন্ত
সোতালে বাস করবে ।এদিকে ব্রহ্মা তাঁর কমন্দুলুর জলে তৃতীয় চরণটিকে ধুইয়ে দিলেন ।সেই
চরণের নখ –ধোওয়া জল গঙ্গা হয়ে প্রবাহিত হল। গঙ্গা স্নানের ফলে মানুষেরা পবিত্র হয়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন