সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

শ্রীকৃষ্ণের রাম অবতার

 



রামায়ণ অনুসারে এই রামচন্দ্ররুপে অবতীর্ণ ভগবান শ্রী কৃষ্ণের কৃতিটি হল অযোধ্যার সূর্যবংশীয় রাজা দশরথের জ্যেষ্ঠ পুত্র রামচন্দ্র ।রামের চোদ্দ বছর বয়সে বিশ্বামিত্র মুনি রাক্ষসদের হাত থেকে যজ্ঞ রক্ষা করবার জন্য দশরথের অনুমতিক্রমে রাম ও লক্ষণ কে আশ্রমে নিয়ে জান।রাক্ষসদের হত্যা করার পর তারা সেখান থেকে মিথিলায় গিয়ে জনকরাজের আতিথ্য গ্রহণ করেন ।





সেখানে বিশ্বামিত্রের পরামর্শে রাম জনকের হরধনু ভঙ্গ করে জনক্রাজের কন্য সীতাকে  বিবাহ করেন । এর কিছুকাল পরে দশরথ  রামকে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন । এই সংবাদে দাসী মন্থরার প্ররোচনায় দশরথের দ্বিতীয় স্ত্রী ভারতজননী কৈকেয়ী দশরথেরপূর্ব প্রতিজ্ঞার সুযোগে এক বরে  ভারতের যুবরাজ হওয়া এবং অন্য বরে রামের চোদ্দ বছর বনবাসের  ব্যবস্থা করলেন । 




বনবাসে গিয়ে রাম , লক্ষণ এবং সীতা পঞ্চবটী বনে বাস করতে লাগলেন । এখান থেকেই লঙ্কার রাজা রাবণ সীতাকে হরণ করে লঙ্কায় নিয়ে গিয়েছিল ।

            এদিকে রাবণের  পূর্ব বৃত্তান্তটি হল এই রকম – ঐশ্বর্যশালী হওয়ার জন্য মা কৈকেয়ীর উপদেশে রাবণ ব্রহ্মার ঘোর তপস্যা করতে থাকে । ব্রহ্মা তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে ব্রহ্মা বর দান করতে চাইলে রাবণ অমরত্বের বর চাইল । কিন্তু ব্রহ্মা অসম্মত হলে , রাবণ দেব ,দানব , দৈত্য যক্ষ ইত্যাদির দ্বারা অবধ্য হওয়ার বর চাইল । ব্রহ্মা রাবণ কে এই বরই দিলেন । 



এদিকে রাবণ বর পেয়ে ক্রমে ক্রমে অত্যাচারি হয়ে উঠল । স্বর্গে দেবরাজ ইন্দ্র ও অন্যান্য দেবতাদের সাথে রাবণ যুদ্ধ করে এবং রাবণপুত্র  মেঘনাদ কপট যুদ্ধে ইন্দ্রকে পরাজিত করে লঙ্কায় নিয়ে আসে ।



 ব্রহ্মার অনুরধে ইন্দ্র মুক্তি লাভ করেন । ফলস্বরুপ ইন্দ্র প্রভৃতি দেবতারা সকলেই রাবণের বিনাশ কামনা করেন । এরপর রাবণ ছদ্দবেশে রামচন্দ্রের ধর্মপত্নী সীতা কে হরণ করে এবং পরিণামে রামচন্দ্র বানরসৈন্যের সাহায্যে লঙ্কায় গিয়ে রাবণকে হত্যা করেন এবং তাঁর দশটি  মুন্ড দশ দিকের অধিপতি দেবতাদের উপহার দেন ।  

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

W.B.B.S.E মাধ্যমিক পরীক্ষার সমস্ত জ্যামিতিক প্রয়োগের প্রশ্ন

 মাধ্যমিক পরীক্ষার সমস্ত গুরুত্বপূণ প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হল।

কারক নির্ণয় ।

                                                        কারক   কারক নির্ণয় প্রায় সব শ্রেনিতেই থাকে তাই এটি প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীর শেখা বাধ্যতামূলক । একটু পরিশ্রম করলেই খুব সহজেই তারা এটি করতে পারে। কিন্তু আমি বেশিরভাগ ছাত্র ছাত্রীদের এই কারকেও ভয় পেতে দেখেছি । আমার প্রিয় ছাত্র ছাত্রী, তোমাদের আর কারকে ভয় পাবার দরকার নেই।  তোমাদের আমি সহাজ সরল পদ্ধতির মাধ্যমে কারক বুঝিয়ে দেবো, যার পর তোমদের আর কখনই কারক ভুল হবেনা।  আমি একটা কবিতার মাধ্যমে তোমাদের কারক নির্ণয় শিখিয়ে দেব।                কারক নির্ণয়ের কবিতা  কারক নির্ণয় যদি মনে প্রাণে কর      তাহলে সবার আগে ক্রিয়াপদ ধর।   ক্রিয়াকে প্রশ্ন কর নিম্নরূপ ভাবে       ক্রিয়াই বলিয়া দেবে কোন কারক হবে।                   কে > কর্ত...

VOICE CHANGE

                                VOICE CHANGE   সপ্তমশ্রেনি থেকে দ্বাদশশ্রেনি পর্যন্ত সকল ছাত্রছাত্রীদের ইংরেজি পরীক্ষায় VOICE CHANGE একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।  যদিও বিষয়টি অত্যন্ত সহজ তবুও অনেক ছাত্রছাত্রী একে একটু ভয় পায়। তাই আমি সেই সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের ভয় কাটানোর জন্য খুব সহজ সরল পদ্ধতির সাহায্যে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেছি এবং আমি নিশ্চিত এই পদ্ধতির সাহায্যে তোমরা খুব ভাল voice change করতে শিখবে                            উদাহরণ                   Active : I eat rice.                  Passive: Rice is eaten by me.  ১। Voice change কাকে বলে ? এটি কত প্রকার ও কি কি ?  উঃ আমরা বাংলায় যাকে বাচ্য বলি তাকেই আমরা ইংরাজিতে voice change বলি।...