সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মিলের অন্বয়ী পদ্ধতি আলোচনা কর ।[সংজ্ঞা ,আকার, দৃষ্টান্ত ,সুবিধা(২ টি )অসুবিধা (২ টি )]

 




উত্তরঃ              পদ্ধতি চিহ্নিতকরণ

প্রশ্নে উদ্ধৃত যুক্তিটিতে মিলের অন্বয়ী পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে   

অন্বয়ী পদ্ধতির সংজ্ঞা

মিল প্রদত্ত অন্বয়ী পদ্ধতির সুত্র বা সংজ্ঞা হল –“যদি আলোচ্য ঘটনাটি উপস্থিত আছে এমন দুই বা ততোধিক দৃষ্টান্তে একটিমাত্র ঘটনা সাধারণভাবে উপস্থিত থাকে এবং ওই সাধারণ ঘটনা সম্বন্ধে যদি দৃষ্টান্ত গুলির মধ্যে মিল থাকে তবে সাধারণ ঘটনাটি আলোচ্য ঘটনার কারন (বা কার্য ) বলে গন্য হবে। “

অন্বয়ী পদ্ধতির আকার

অন্বয়ী পদ্ধতির আকার হল ঃ

দৃষ্ঠান্ত

পূর্ববর্তী ঘটনা

পরবর্তী ঘটনা

প্রথম           

ABC

abc

দ্বিতীয়

ADF

ade

তৃতীয়

AEF

Aef

A হল a এর কারণ ।

অন্বয়ী পদ্ধতির দৃষ্ঠান্ত

অন্বয়ী পদ্ধতির দৃষ্টান্ত (বাস্তব উদাহারণ) হল ঃ

                  দৃষ্টান্ত

                 পূর্ববর্তী ঘটনা

     পরবর্তী ঘটনা

 দ্বাদশ শ্রেণির প্রথম ছাত্র                       তর্কবিদ্যা পাঠ করেছে (A) ,ইতিহাস (B) ,                      মানসিক উন্নতি হয়েছে (a)

                                                                বাংলা (C) পাঠ করেছে ।                                         (  ভালো ফল করেছে )

দ্বাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় ছাত্র                       তর্কবিদ্যা পাঠ করেছে (A), রাষ্ট্রবিজ্ঞান(D),                মানসিক উন্নতি হয়েছে (a) 

                                                             ইংরেজি (E) পাঠ করেছে ।                                          (ভালো ফল করেছে )

দ্বাদশ শ্রেণির তৃতীয় ছাত্র                        তর্কবিদ্যা পাঠ করেছে (A), ইংরেজি (E),                     মানসিক উন্নতি হয়েছে ()

                                                             সংস্কৃত (F) পাঠ করেছে ।                                             ( ভালো ফল করেছে )

তর্কবিদ্যা পাঠ(A) হল মানসিক উন্নতির (a) কারণ ।

আলোচ্য ঘটনা (a)  = মানসিক উন্নতি (a)

সাধারণ ঘটনা (A) = তর্কবিদ্যা পাঠ (A)

আনুষঙ্গিক ঘটনা (BCDEF) = ইতিহাস (B) , বাংলা (C), রাষ্ট্রবিজ্ঞান (D), ইংরেজি (E), সংস্কৃত (F) ।

 অন্বয়ী পদ্ধতির সুবিধা

 

অন্বয়ী পদ্ধতির সুবিধাগুলি হল ঃ

(১) জনপ্রিয় পদ্ধতি অন্বয়ী পদ্ধতি হল জনপ্রিয় পদ্ধতি । কেন –না সাধারণ মানুষ বিভিন্ন ঘটনার মধ্যে দুটি ঘটনার একসঙ্গে উপস্থিতি লক্ষ করে তাদের মধ্যে কার্য –কারণ  সম্বন্ধ আবিষ্কারের চেষ্টা করে । যেমন - কোনো কৃষক বিভিন্ন  ফসলে  ইউরিয়া সার প্রয়োগ করে দেখল তাঁর ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে । সুতরাং , ইউরিয়া সার প্রয়োগই ফলন বৃদ্ধির কারণ ।

(২) অন্বয়ী পদ্ধতির প্রয়োগক্ষেত্র খুবই ব্যাপক ঃ অন্বয়ী পদ্ধতি পর্যবেক্ষণমূলক পদ্ধতি । তাই যে সকল ক্ষেত্রে পরীক্ষণ সম্ভব নয় , সেই সকল ক্ষেত্রে  কার্য –কারণ সম্বন্ধ আবিষ্কারের একমাত্র পদ্ধতি হল অন্বয়ী পদ্ধতি । যেমন – ঝড় , ভুমিকম্প , মহামারি , সুনামি প্রভৃতি ঘটনার কারণ আবিষ্কারের একমাত্র পদ্ধতি হল অন্বয়ী পদ্ধতি ।

অন্বয়ী পদ্ধতির অসুবিধা

 

অন্বয়ী পদ্ধতির অসুবিধাগুলি হল ঃ

(১) প্রকৃতিগত অপুর্ণতা ঃ অন্বয়ী পদ্ধতির প্রকৃতির মধ্যে বহুকারণ দোষের সম্ভাবনা নিহিত আছে । অন্বয়ী পদ্ধতিতে দুটি ঘটনার বহু ক্ষেত্রে  উপস্থিতি লক্ষ করে কার্য – কারণ সম্বন্ধ আবিস্কার করা হয় । কিন্তু একটি কার্যের যদি অনেকগুলি কারণ থাকে , তবে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা অসম্ভব হবে । এইজন্যই মিল বহুকারণের সম্ভাবনাকে অন্বয়ী পদ্ধতির প্রকৃতিগত  অপুর্ণতা বলেছেন । এই অসুবিধা দূরীকরণের জন্য মিল দৃষ্ঠান্তের  সংখ্যা বৃদ্ধি ও সংযুক্ত পদ্ধতি প্রয়োগের কথা বলেছেন ।

(২) ব্যাবহারিক দোষ ঃ  অন্বয়ী পদ্ধতি পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তিশীল । তাই কারণ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে প্রকৃত কারণ সর্বদা অপর্যবেক্ষণের সম্ভাবনা থাকে । অর্থাৎ , অন্বয়ী পদ্ধতি সর্বদা অপর্যবেক্ষণ দোষে দুষ্ট হতে পারে  । এই অসুবিধা দূরীকরণের জন্য মিল দৃষ্ঠান্তের সংখ্যা  বৃদ্ধির কথা বলেছেন ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

W.B.B.S.E মাধ্যমিক পরীক্ষার সমস্ত জ্যামিতিক প্রয়োগের প্রশ্ন

 মাধ্যমিক পরীক্ষার সমস্ত গুরুত্বপূণ প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হল।

কারক নির্ণয় ।

                                                        কারক   কারক নির্ণয় প্রায় সব শ্রেনিতেই থাকে তাই এটি প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীর শেখা বাধ্যতামূলক । একটু পরিশ্রম করলেই খুব সহজেই তারা এটি করতে পারে। কিন্তু আমি বেশিরভাগ ছাত্র ছাত্রীদের এই কারকেও ভয় পেতে দেখেছি । আমার প্রিয় ছাত্র ছাত্রী, তোমাদের আর কারকে ভয় পাবার দরকার নেই।  তোমাদের আমি সহাজ সরল পদ্ধতির মাধ্যমে কারক বুঝিয়ে দেবো, যার পর তোমদের আর কখনই কারক ভুল হবেনা।  আমি একটা কবিতার মাধ্যমে তোমাদের কারক নির্ণয় শিখিয়ে দেব।                কারক নির্ণয়ের কবিতা  কারক নির্ণয় যদি মনে প্রাণে কর      তাহলে সবার আগে ক্রিয়াপদ ধর।   ক্রিয়াকে প্রশ্ন কর নিম্নরূপ ভাবে       ক্রিয়াই বলিয়া দেবে কোন কারক হবে।                   কে > কর্ত...

VOICE CHANGE

                                VOICE CHANGE   সপ্তমশ্রেনি থেকে দ্বাদশশ্রেনি পর্যন্ত সকল ছাত্রছাত্রীদের ইংরেজি পরীক্ষায় VOICE CHANGE একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।  যদিও বিষয়টি অত্যন্ত সহজ তবুও অনেক ছাত্রছাত্রী একে একটু ভয় পায়। তাই আমি সেই সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের ভয় কাটানোর জন্য খুব সহজ সরল পদ্ধতির সাহায্যে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেছি এবং আমি নিশ্চিত এই পদ্ধতির সাহায্যে তোমরা খুব ভাল voice change করতে শিখবে                            উদাহরণ                   Active : I eat rice.                  Passive: Rice is eaten by me.  ১। Voice change কাকে বলে ? এটি কত প্রকার ও কি কি ?  উঃ আমরা বাংলায় যাকে বাচ্য বলি তাকেই আমরা ইংরাজিতে voice change বলি।...